🏛️ লেখা ও পড়ার সহজ শুরু

পাঠের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা

পড়া আর লেখা হলো মানুষের বড় শক্তি।

এতে আমরা শিখি, ভাবি ও কিছু মনে রাখি।

❓কিন্তু সব কিছুর শুরু কোথায়?

চলুন, ঘুরে আসি বহু বছর আগের অতীতে।

🧱 লেখা কীভাবে শুরু হয়?

প্রায় ৫০০০ বছর আগে, মেসোপটেমিয়ায় মানুষ কাদা ফলকে চিহ্ন কাটত।

এই লেখার নাম ছিল “কিউনিফর্ম”।

তারা শুরুতে লিখত ফসল আর জিনিসের হিসেব রাখতে।

🖋️ কে লিখত এই লেখা?

📌 শুধুমাত্র বিশেষ কিছু মানুষ লিখতে ও পড়তে জানত।

তাদের বলা হতো লিপিকার।

📚 তারা পড়াশোনা করত “এডুব্বা” নামে মন্দির-বিদ্যালয়ে।

তারা আইন, ধর্ম ও গল্প লেখা শিখত আর সংরক্ষণ করত।

🗿 ⛏️ বিখ্যাত প্রাচীন লেখা

• হামুরাবির বিধি — পাথরের ওপর খোদাই করা এক প্রাচীন আইন সংকলন।

• গিলগামেশ মহাকাব্য — পৃথিবীর প্রথম গল্পগুলোর একটি।

📚 তখন বই কেমন ছিল?

📄 তখনকার “বই” ছিল কাদা ফলক আর স্ক্রল।

🖐️ সবই ছিল হাতের লেখা।

বছর পেরিয়ে চলে এলো নতুন সভ্যতা, আর লেখা ছড়িয়ে গেল আশেপাশের দেশগুলোতেও।

✍️ শুধু পড়া নয়, বুঝে পড়া

প্রতীক কী বোঝায়, আর কখন ব্যবহার হয় —

এই বোঝাপড়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

🏺 মিশরেও ছিল নিজস্ব লেখা পদ্ধতি — হায়ারোগ্লিফিক, যা ছবি দিয়ে তৈরি হত।

🚀 লেখা ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে

মেসোপটেমিয়া থেকে লেখা পৌঁছাল ফিনিশিয়া।

সেখানে তৈরি হলো ধ্বনিভিত্তিক বর্ণমালা।

✍️ গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষাও এই পথেই গড়ে ওঠে।

এভাবে লেখা সাধারণ মানুষের দোড়গোড়াতে পৌঁছে যায়।

🌍 আজ কেন পড়া গুরুত্বপূর্ণ?

👉 লেখা ও পড়া আমাদের চিন্তা, সমাজ আর গল্পের ভিত্তি।

👉 আজকের ডিজিটাল দুনিয়ার শুরু হয়েছে ঐ কাদা ফলক থেকেই।

🧠 আমরা যা ভাবি, যা জানি — তা ধরে রাখতে পারি পাঠ আর লিখনের মাধ্যমে।

🧩 উপসংহার: ইতিহাস ধরে রাখে লেখা

প্রথম পাঠ ইতিহাসের দরজা খোলার চাবি।

মানুষের প্রথম লেখা ছাড়া আজকের সমাজ, আইন, বিজ্ঞান— কিছুই গড়ে উঠত না।

🖱️ আজ আমরা তথ্য রাখি কম্পিউটারে, কিন্তু এই সফরের শুরু হয়েছিল ছোট্ট এক কাদা ফলক দিয়ে।